গুনাহের কথা কাউকে বলা যাবে কি

প্রশ্ন                                                                                                  

গুনাহ থেকে বাঁচার নিয়তে গুনাহের কথা কাউকে বলা যাবে কি?

উত্তর                                                                                                

بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما

গুনাহের কথা কারো কাছে প্রকাশ করা ঠিক নয়। শরিয়তে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

كُلُّ أُمَّتِي مُعَافًى إِلاَّ الْمُجَاهِرِينَ، وَإِنَّ مِنَ الْمَجَانَةِ أَنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ بِاللَّيْلِ عَمَلاً، ثُمَّ يُصْبِحَ وَقَدْ سَتَرَهُ اللَّهُ، فَيَقُولَ يَا فُلاَنُ عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا، وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللَّهِ عَنْهُ

‘আমার সকল উম্মাতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী ব্যতীত। আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে, কোন লোক রাতের বেলা অপরাধ করল যা আল্লাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে, আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬০৬৯]

কাজেই গুনাহের কথা কারো কাছে প্রকাশ করা যাবে না। বরং গুনাহ হয়ে গেলে তওবা করতে হবে। তওবা করার কিছু শর্ত আছে। ইমাম নববি (রহ.) বলেন,

১। পাপ কাজ সম্পূর্ণরূপে বর্জণ করতে হবে।

২। পাপ কাজে লিপ্ত হওয়ায় অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে।

৩। ঐ পাপ কাজ আগামীতে পূণর্বার না করার দৃঢ়সংকল্প থাকতে হবে।

৪। পাশাপাশি উক্ত গুনাহে যদি কোনো বান্দার হক সম্পৃক্ত থাকে তাহলে সেই হক আদায় করে দিতে হবে। [রিয়াজুস সালেহিন পৃ: ৩৩]

সুতরাং করণীয় হল, গুনাহ হলেই সাথে সাথে আল্লাহর কাছে তওবা করা। কারো কাছে প্রকাশ করার কোনো প্রয়োজন নেই।

আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

و الله تعالى أعلم بالصواب

وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم

উত্তর দিচ্ছেন:

ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী

সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/20457/article-details.html