প্রশ্ন
কেউ কেউ বলে থাকে যে, যারা তাহাজ্জুদের নামায পড়তে উঠে জীন শয়তানরা তাদের ক্ষতি করে থাকে। জানতে চাচ্ছি, কথাটা কতটুকু সত্যি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শয়তান মানুষকে নেক আমল থেকে বিরত রাখার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকে। প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটিও তাহাজ্জুদ থেকে মানুষকে বাধা দেওয়ার অন্যতম একটি পন্থা। এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়েন। কিন্তু এখন পর্যন্ত শয়তান তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। কাজেই এ জাতীয় কথার কারণে তাহাজ্জুদের নামায থেকে বিরত থাকা যাবে না।
বরং নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ার চেষ্টা করতে হবে। কারণ তাহাজ্জুদ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি ইবাদত। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ، وَأَفْضَلُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلَاةُ اللَّيْلِ
‘রমযান মাসের রোযার পর সর্বোত্তম রোযা হচ্ছে আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায হচ্ছে রাতের (তাহাজ্জুদের) নামায।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৬৩]
সুতরাং সর্বদা তাহাজ্জুদ নামায পড়তে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/20259/article-details.html