প্রশ্ন
আমি নতুন বিয়ে করেছি। আমার স্ত্রী পড়ালেখা করছে। এখন যদি বাচ্চা নেই তাহলে তার পড়ালেখায় সমস্যা হবে। প্রশ্ন হল, পড়ালেখার কারণে সাময়িক জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
স্বাভাবিক অবস্থায় কোন প্রকার ওজর ছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ বৈধ নয়। বিশেষ করে যদি দারিদ্র্যের ভয়ে কিংবা সন্তানকে খাওয়ানোর ভয়ে হয়ে থাকে তাহলে তো স্পষ্টভাবে কুরআনের বিপরীত। কারণ এটিও এক দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তান হত্যার শামিল। আর শরিয়তের দৃষ্টিতে সন্তান হত্যা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ
‘তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না।’ [সূরা ইসরা, আয়াত: ৩১]
তবে শরয়ি কোনো ওযর প্রয়োজন দেখা দিলে জন্মনিয়ন্ত্রণের কয়েকটি পদ্ধতির মাঝে শুধু একটি পদ্ধতি গ্রহণ করার অনুমোদন শরিয়ত দিয়েছে। তা হলো, অস্থায়ী পদ্ধতি, যা অবলম্বনের কারণে স্বামী বা স্ত্রী কেউই প্রজনন ক্ষমতাহীন হয় না। যেমন, যোনীর বাহিরে বীর্যপাত ঘটানো, কনডম ব্যবহার করা, পিল খাওয়া, ইঞ্জেকশন নেওয়া, সাময়িক জরায়ুর মুখ বন্ধ রাখা ইত্যাদি।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عن جابر قال كنا نعزل على عهد النبي ﷺ
‘হযরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূল (সা.)-এর যুগে আযল (যা জন্মনিয়ন্ত্রণের একটা পুরনো ও অস্থায়ী পদ্ধতি) করতাম।’ [সহিহ বুখারি ২/৭৮৪]
পড়ালেখা শরয়ি কোনো ওযর নয় তাই উক্ত কারণে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/20219/article-details.html