প্রশ্ন
শরীরের অবাঞ্ছিত লোম যদি পরিষ্কার না করা হয় এবং ৪০ দিন পার হয়ে যায় তাহলে কি নামাজ কবুল হয় না?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সর্বোচ্চ চল্লিশ দিনের মাঝে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা জরুরি। এর চেয়ে বেশি দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তা মাকরূহ হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً
‘আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, গোঁফ ছোট রাখা,নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি।’[সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৫৮]
হাদিসে শুধু চল্লিশ দিনের আগেই শরীরের অবাঞ্ছিত লোম কাটার কথা বলা হয়েছে। না কাটলে নামাজ হবে না- এ মর্মে কোনো বিধান দেওয়া হয়নি।
সুতরাং কেউ যদি চল্লিশ দিনেও না কাটে তাহলে তার শরীর পবিত্র থাকলে নামাজ হয়ে যাবে। তবে তা মাকরূহ হবে। কাজেই চল্লিশ দিনের আগেই তা কেটে ফেলতে হবে। অন্যথায় গুনাহগার হওয়ার পাশাপাশি নামাজও মাকরূহ হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/20062/article-details.html