প্রশ্ন
কুফরী কালামযুক্ত তাবীয ব্যবহার করা বৈধ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
তাবীয বৈধ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত শরিয়তে রয়েছে। যথা,
১। আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রেখে তাবীযকে ওষুধের মতো শুধু উপকরণ হিসেবে বিশ্বাস রাখা।
২। কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম ও সিফাত ইত্যাদি বৈধ বিষয় দ্বারা তাবীয করা।
৩। কুফুরী বা এমন শব্দ ব্যবহার না করা যার অর্থ জানা যায় না।
কাজেই কুফরী কালামযুক্ত তাবীয ব্যবহার করা কোনোক্রমেই বৈধ হবে না। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ قَالَ: كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ، كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ؟ فَقَالَ: اعْرِضُوا عَلَيَّ رُقَاكُمْ، لَا بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ
‘আওফ ইবনু মালিক আশজা’ঈ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জাহিলী (মূর্খতার) যুগে (বিভিন্ন) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। এজন্যে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আবেদন করলাম- হে আল্লাহর রসূল! এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার নিকট উপস্থাপন করো, ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই- যদি তাতে কোন শিরক (জাতীয় কথা) না থাকে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২২০০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/19914/article-details.html