প্রশ্ন
আমি শুনেছি, মুসলমানদের হকসমূহের অন্যতম হল, অপর মুসলমানের দাওয়াত কবুল করা। কিন্তু বর্তমানে বিয়ের দাওয়াতগুলোতে গান বাজনার ব্যবস্থা থাকে। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা হয়ে থাকে। জানতে চাচ্ছি, এমন দাওয়াতে উপস্থিত হওয়াও কি জরুরি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কোন মুসলমান দাওয়াত দিলে তা কবুল করা সুন্নত। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ رَدُّ السَّلاَمِ، وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ، وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ
‘পাঁচটি বিষয় মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের ব্যাপারে ওয়াজিব: ১. সালামের জবাব দেওয়া, ২. হাঁচিদাতাকে (তার আলহামদু লিল্লাহ বলার জবাবে) রহমতের দোয়া করা, ৩. দাওয়াত কবুল করা, ৪. অসুস্থকে দেখতে যাওয়া এবং ৫. জানাযার সাথে গমন করা।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৪৬৫]
গান বাজনা হারাম, এতে কোনো সন্দেহ নেই। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
لَيَشْرَبَنَّ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي الْخَمْرَ، يُسَمُّونَهَا بِغَيْرِ اسْمِهَا، يُعْزَفُ عَلَى رُؤوسِهِمْ بِالْمَعَازِفِ وَالْمُغَنِّيَاتِ، يَخْسِفُ اللَّهُ بِهِمْ الْأَرْضَ، وَيَجْعَلُ مِنْهُمْ الْقِرَدَةَ وَالْخَنَازِيرَ
‘আমার উম্মাতের কতক লোক মদের ভিন্নতর নামকরণ করে তা পান করবে। (তাদের পাপসক্ত অবস্থায়) তাদের সামনে বাদ্যবাজনা চলবে এবং গায়িকা নারীরা গীত পরিবেশন করবে। আল্লাহ তা’আলা এদেরকে মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দিবেন এবং তাদের কতককে বানর ও শূকরে রূপান্তরিত করবেন।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪০২০]
পরনারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করাও শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ
‘আপনি মুমিনদেরকে বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত করে রাখে।’ [সূরা নূর, আয়াত: ৩০]
কাজেই কোনো বিয়ের দাওয়াতে যদি গান বাজনা কিংবা বেপর্দা থাকে তাহলে উক্ত দাওয়াতে উপস্থিত হওয়া বৈধ হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/19830/article-details.html