প্রশ্ন
সফরকালে অনেক সময় ব্যস্ততার দরূন সুন্নত পড়ার সুযোগ হয় না। জানতে চাচ্ছি, এতে কি কোনো সমস্যা হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ফরজ নামাজের আগের ও পরের সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজগুলো রাসূল (সা.) নিয়মিত আদায় করতেন। পাশাপাশি এগুলো আদায় করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করতেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
مَنْ ثَابَرَ عَلَى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ دَخَلَ الْجَنَّةَ، أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ
‘যে ব্যক্তি নিয়মনিষ্ঠভাবে দিবারাত্রে বারো রাকাত নামায পড়বে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে (অথবা জান্নাতে তার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করা হবে); যোহরের (ফরয নামাযের) পূর্বে (এক সালামে) চার রাকাত ও পরে দুই রাকাত, মাগরিবের পর দুই রাকাত, এশার পর দুই রাকাত এবং ফজরের (ফরযের) পূর্বে দুই রাকাত।’ [সুনানে নাসাঈ, হাদিস: ১৭৯৪]
বিশুদ্ধতম অভিমত হল, সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজগুলো ওয়াজিবের মত। কেউ যদি ইচ্ছাকৃত এগুলো ছেড়ে দেয় তাহলে সে গুনাহগার হবে।
তবে সফর অবস্থায় সুন্নতে মুয়াক্কাদার বিষয়টি শিথিল। সুযোগ-সুবিধা থাকলে বা নিশ্চিন্তে কোথাও অবস্থানকালীন সুন্নতে মুআক্কাদা আদায় করা উচিত।
তবে চলতি পথে গাড়ি ছেড়ে দেয়ার আশঙ্কা থাকলে কিংবা অন্য কোনো কারণে তাড়াহুড়া থাকলে সুন্নত পড়তে হবে না। না পড়লে গুনাহও হবে না।
সুতরাং ব্যস্ততার কারণে সুন্নত ছেড়ে দিলে কোনো সমস্যা হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/19171/article-details.html