প্রশ্ন
যে ব্যক্তি পর পর তিন জুমা তরক করল, তার উপর কি শরিয়তের বিশেষ কোনো হুকুম আছে? অনেকে বলে থাকেন, ”পর পর তিন জুমা না পড়লে স্ত্রী তালাক হয়ে যায়”। এ বক্তব্য কি সঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ফরজ নামাজ ত্যাগ করা অনেক বড় গুনাহের কাজ। মুসলিমদের জন্য নামাজ এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, এর মাধ্যমেই অমুসলিম এবং মুসলিমের মাঝে পার্থক্য করা হয়।
হাদিস শরিফে এসেছে,
إن بين الرجل وبين الشرك والكفر: تركَ الصلاة
অর্থ: ‘নিশ্চয় ব্যক্তি ও কুফুর শিরিকের মাঝে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ ছেড়ে দেওয়া।’
জুমার নামাজ ত্যাগ করার বিষয়টি তো আরো মারাত্মক ব্যাপার। প্রশ্নে উল্লেখিত পর পর তিন জুমা ছেড়ে দিলে স্ত্রী তালাক হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি হাদিসে আসেনি। তবে এর থেকেও কঠিন কথা হাদিসে বলা হয়েছে।
নবী কারিম (সা.) বলেন,
من ترك الجمعة ثلاث مرات متواليات من غير ضرورة طبع الله على قلبه
অর্থ: ‘যে ব্যক্তি কোনো কারণ ছাড়া পর পর তিন জুমা ছেড়ে দেয়, আল্লাহ তাআলা তার অন্তরে মোহর মেরে দেন।’ [সুনানে বাইহাকি, হাদিস: ৫৭৮৫]
একজন প্রকৃত মুমিনের জন্য আল্লাহর কতৃক অন্তরে মোহর মেরে দেওয়া স্ত্রী তালাক হয়ে যাওয়া থেকেও অনেক বড় শাস্তি। তাই আমাদের এ ব্যাপারে খুব বেশি যত্নবান হওয়া উচিৎ।
পবিত্র কুরআনেআল্লাহ তাআলা বলেন,
حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ
অর্থ: “তোমরা নামাজের প্রতি যত্নবান হও।” [ সূরা আল বাকারা, আয়াত: ২৩৮]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: http://www.drkhalilurrahman.com/1231/article-details.html
তিন জুম্মা না পড়তে পারলে পরে কিভাবে নামাজ আদায় কতে হয় আর কালেমা পড়ে কি নামাজ শুরু করতে হয়?
তিন জুমআা না পড়লে আল্লাহ তাআলা অন্তরে মহর মেরে দেন।এর থেকে উত্তরনের উপায় কি?
নিয়মিত জুমআ আদায় করতে হবে। কখনো যেন ছুটে না যায়। আর পূর্বের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে খাঁটি মনে তওবা করতে হবে।