প্রশ্ন
আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি সুদী ব্যবসার সাথে জড়িত। তার মূলধন আছে এক লক্ষ টাকা। আর সুদ থেকে প্রাপ্ত টাকার পরিমাণ হল দুই লক্ষ। সে বর্তমানে এই তিন লক্ষ টাকার মালিক, যা তার প্রয়োজন অতিরিক্ত। জানতে চাচ্ছি, তার উপর কিভাবে যাকাত আবশ্যক হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হারাম মালের উপর যাকাত আবশ্যক হয় না। কারণ হারাম মালের প্রকৃত মালিক সে নয়। বরং যার কাছ থেকে সুদের উপর মাল নেওয়া হয়েছে সেই প্রকৃত মালিক। এ কারণে, হারাম মালের ক্ষেত্রে বিধান হল, প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। আর যদি প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিবদেরকে দান করে দেওয়া। মাআরিফুস সুনান কিতাবে লেখা হয়েছে,
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
‘যে ব্যক্তি হারাম পন্থায় মালের মালিক হয়েছে, ঐ মাল যদি মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে তা গরিবদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে।’ [মাআরিফুস সুনান ১/৩৪]
সুতরাং তার দুই লক্ষ টাকা যেহেতু সুদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তাই তা উপর যাকাত আসবে না। তবে বাকি এক লক্ষ টাকার প্রকৃত মালিক যেহেতু সে নিজে তাই তার উপর যাকাত আসবে এবং হিসাব করে সেই টাকার যাকাত দিয়ে দিতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/?p=18407&preview=true