প্রশ্ন
একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সদস্য হতে হলে ১৫ বছর পর্যন্ত প্রত্যেক বছর জমা দিতে হবে ৮৬২০ টাকা। পাঁচ বছর পর বা দুই বছর পর পর ১৫ হাজার টাকা করে বোনাস দেবে। ১৫ বছর পর ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেবে। জানার বিষয় হলো উক্ত ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কার্যক্রম কি শরিয়তসম্মত?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে উক্ত ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির লেনদেনে সুদ ও জুয়ার সমন্বয় ঘটে বিধায় শরীয়তের দৃষ্টিতে তা বৈধ নয়। তাই উক্ত কোম্পানির সাথে লেনদেন করে মুনাফা গ্রহণ করা বৈধ হবে না।
সুদ থাকার কারণ হলো, ইন্স্যুরেন্সের নামে সঞ্চিত অর্থ অনেকটা ঋণের মতো। আর এতে প্রদত্ত মুনাফা হলো সময় ও বিরতির বিনিময়। এটাকে ইসলামী আইনের পরিভাষায় সুদ বলে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘যে ঋণ ঋণদাতার জন্য কোনো সুবিধা নিয়ে আসে তা হারাম।’ [আসসুনানুল কুবরা, হাদিস: ১০৯৩৩]
আর জুয়া থাকার কারণ হলো, অর্থ পাওয়া না পাওয়া এখানে এমন একটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল যার অস্তিত্ব ও অনস্তিত্ব অস্পষ্ট। এটি জুয়ার অন্তর্ভুক্ত। তাই এমন লেনদেন থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।
আলবাহরুর রায়েক ৬/১২৩, রদ্দুল মুহতার ৫/১৬৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/17563/article-details.html