প্রশ্ন
একজন স্বামী তার স্ত্রীকে যিনার অপবাদ দিচ্ছে এবং স্ত্রী তা অস্বীকার করছে। এমতাবস্থায় উক্ত সমস্যার সমাধান কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যদি স্বামী স্ত্রীকে যিনার অপবাদ দেয় এবং তার দাবির সপক্ষে চারজন সাক্ষী না থাকে তাহলে স্বামী-স্ত্রীর উপর লিআন আসবে।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে বলেন-
وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنْفُسُهُمْ فَشَهَادَةُ أَحَدِهِمْ أَرْبَعُ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ وَالْخَامِسَةُ أَنَّ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ. وَيَدْرَأُ عَنْهَا الْعَذَابَ أَنْ تَشْهَدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ. وَالْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ
‘আর যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথচ নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী। এবং পঞ্চমবার বলবে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার উপর আল্লাহর অভিশাপ নেমে আসবে। তবে স্ত্রীর শাস্তি রহিত করা হবে; যদি সে চারবার আল্লাহর নামে শপথ করে সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামীই মিথ্যাবাদী। এবং পঞ্চমবার বলে, তার স্বামী সত্যবাদী হলে তার নিজের উপর আল্লাহর ক্রোধ নেমে আসবে।’ [সূরা নূর, আয়াত: ৬-১০]
উক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ তাআলা লিআনের পদ্ধতি বলে দিয়েছেন। অর্থাৎ লিআনের পদ্ধতি হলো, স্বামী কাজির (ইসলামী বিচারক) নিকট অভিযোগ উত্থাপনের পর বিচারক প্রথমে স্বামীকে লিআন করাবে। প্রথমে স্বামী চারবার বলবে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমার স্ত্রী যিনা করেছে। এ ব্যাপারে আমি সত্যবাদি। অতঃপর পঞ্চম বার বলবে, যদি আমি মিথ্যাবাদী হই তাহলে আমার উপর আল্লাহর লানত (অভিশাপ)বর্ষিত হোক।
অতঃপর স্ত্রীকে লিআন করাবে। স্ত্রী চারবার বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমার স্বামী এ ব্যাপারে মিথ্যাবাদী। আর পঞ্চমবার স্ত্রী আরও বলবে, যদি আমার স্বামী সত্যবাদী হয়ে থাকে তাহলে আমার উপর আল্লাহর গযব পড়ুক।
এই নিয়মে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ে লিআন করলে বিচারক তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক স্থায়ীভাবে বিচ্ছেদের ঘোষণা করবেন।
সূরা নূর, আয়াত: ৫, হেদায়া ২/৪১৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/17399/article-details.html