প্রশ্ন
কিছুদিন আগে আমার এক বোনের বিয়ে হয়েছে। ছেলে বিদেশে থাকে। তাই বিয়েটি মোবাইলে হয়েছে। বিয়ের সময় এখানেও সাক্ষী ছিল এবং ওখানেও সাক্ষী ছিল। মোবাইলে খুব স্পষ্টভাবে শোনা গিয়েছিল। এখন আমার প্রশ্ন হলো, এভাবে বিয়ে হয়েছে কি না?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরীয়তের বিধান মতে বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য জরুরি হলো ইজাব-কবুল একই মজলিসে সম্পন্ন হওয়া এবং সেখানে কমপক্ষে দুজন সাক্ষী একত্রে উপস্থিত থেকে ইজাব-কবুল শ্রবণ করা।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ لا نِكَاحَ إِلا بِوَلِيٍّ وَشَاهِدَيْ عَدْلٍ ، وَمَا كَانَ مِنْ نِكَاحٍ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ ، فَهُوَ بَاطِلٌ
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘অভিভাবক ও দুজন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতীত বিয়ে শুদ্ধ হয় না। যে বিবাহ অভিভাবক ও সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতীত হবে তা বাতিল।’ [সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৪০৭৫]
এটি সরাসরি মোবাইল ফোন বা টেলিফোনের মাধ্যমে সম্ভব নয়। তাই টেলিফোনে বা মোবাইলে সরাসরি ইজাব-কবুলের মাধ্যমে বিবাহ কার্য শুদ্ধ হয় না। সে হিসেবে প্রশ্নে বর্ণিত বিয়ের কার্য শুদ্ধ হয়নি। সঠিক নিয়মে এ বিবাহ পুন:সম্পাদন করতে হবে।
টেলিফোন বা মোবাইল ফোনে বিয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তার জন্য বিকল্প পদ্ধতি রয়েছে। যেমন: পাত্র বা পাত্রীর কোনো এক পক্ষ অপর পক্ষের কাছে উপস্থিত পরিচিত কোনো ব্যক্তিকে টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে নিজের বিয়ের উকিল বানাবে। তিনি অপর পক্ষের সম্মুখে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব করবেন। অপর পক্ষ কবুল করবে। এতে একই মজলিসে ইজাব-কবুল সংঘটিত হওয়ার মাধ্যমে ইসলামের বিধান অনুযায়ী সঠিক নিয়মে বিবাহ সম্পন্ন হবে।
আদ দুররুল মুখতার ৩/৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৬৯; ফাতওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাহ ১৮/৯০
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/17342/article-details.html