প্রশ্ন
অনেক সময় এমন হয় যে, গীবত শুনতে চাই না। কিন্তু বন্ধুদের কেউ কেউ গীবত শুরু করে দেয়। তখন করণীয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلم
গীবত করা অনেক বড় গুনাহ। কুরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ
‘তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী,পরম দয়ালু।’ [সূরা হুজুরাত-১২]
আর গীবত করা যেমন হারাম গীবত শুনাও হারাম। এতে গীবতকারীর গীবতের কাজে সহযোগিতা করা হয়। অথচ আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
‘সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।’ [সূরা মায়িদা-২]
তাই আপনার কর্তব্য হল, গীবতকারীকে গীবত করা থেকে বাঁধা দেওয়া। আর যদি তা না পারেন তাহলে তার সামনে থেকে চলে যাওয়া।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/15714/article-details.html