প্রশ্ন
এখন বাচ্চাদের অনেক রকম বেলুন পাওয়া যায়, যেগুলোতে কার্টুন এঁকে বিক্রি করা হয়। বাচ্চারা এগুলোর প্রতি বেশি আগ্রহী হয়। আমি কি এভাবে কার্টুন এঁকে বেলুন বিক্রি করতে পারব?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
না, কার্টুন, প্রাণীর ছবির স্থিরচিত্র আঁকা বৈধ নয়। তাই এটি জায়েয হবে না। কারণ হাদিসে প্রাণীর ছবি অঙ্কন করতে নিষেধ করা হয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে-
عن عائشة أم المؤمنين: أنَّها اشْتَرَتْ نُمْرُقَةً فيها تَصاوِيرُ، فَلَمّا رَآها رَسولُ اللَّهِ ﷺ قامَ على البابِ فَلَمْ يَدْخُلْ، فَعَرَفَتْ في وجْهِهِ الكَراهيةَ، قالَتْ: يا رَسولَ اللَّهِ، أتُوبُ إلى اللَّهِ وإلى رَسولِهِ، ماذا أذْنَبْتُ؟ قالَ: ما بالُ هذِه النُّمْرُقَةِ فقالَتْ: اشْتَرَيْتُها لِتَقْعُدَ عليها وتَوَسَّدَها، فقالَ رَسولُ اللَّهِ ﷺ: إنَّ أصْحابَ هذِه الصُّوَرِ يُعَذَّبُونَ يَومَ القِيامَةِ، ويُقالُ لهمْ: أحْيُوا ما خَلَقْتُمْ وقالَ: إنَّ البَيْتَ الذي فيه الصُّوَرُ لا تَدْخُلُهُ المَلائِكَةُ.
অর্থাৎ, তিনি বলেন যে, একবার তিনি ছবিওয়ালা গদি খরিদ করেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন তা দেখতে পেলেন, তখন দরজায় দাঁড়িয়ে গেলেন। প্রবেশ করলেন না। আয়িশাহ (রা.) নাবী (সা.) এর চেহারায় অসন্তুষ্টি বুঝতে পারলেন। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কাছে এ গুনাহ থেকে তাওবাহ করছি। নাবী (সা.) বললেন, এ গদি কোত্থেকে আসলো? ‘আয়িশাহ বললেন, আপনার উপবেশন ও হেলান দেয়ার জন্য আমি এটি ক্রয় করেছি। রাসূলুল্লাহ (সা.) তখন বললেন, এসব ছবির নির্মাতাদের কেয়ামতের দিন আযাব দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যা বানিয়েছিলে তা জীবিত কর। তিনি আরো বললেন, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না। [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯৬১]
আরেক হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
إنَّ أشَدَّ الناسِ عَذابًا يومَ القيامةِ الذين يُضاهونَ بخَلْقِ اللهِ عزَّ وجلَّ.
কিয়ামতের দিন ঐ সমস্ত লোকেরা (যারা ছবি আঁকে তারা আল্লাহর সৃষ্টির মতই কিছু করতে উদ্যত হয়।) সবচেয়ে বেশী আযাব ভোগ করবে যারা আল্লাহর সৃষ্টির মত সৃষ্টি করে। [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯৫৪]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র:https://www.drkhalilurrahman.com/?p=15567&preview=true