প্রশ্ন
আমাদের গ্রামের মসজিদে জন্য ওয়াকফকৃত জমি মসজিদ নির্মাণের পরও অতিরিক্ত থেকে গিয়েছে। উক্ত জমি মসজিদের কাজে লাগবে না। পাশেই একটি ছোট কবরস্থান আছে। এলাকার মানুষ চাচ্ছে উক্ত জমি কবরস্থানে দিয়ে দিতে। জানতে চাচ্ছি, সেই অতিরিক্ত জমি কবরস্থানের কাজে ব্যবহার করা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কোনো বস্তুকে যে কাজের জন্য ওয়াকফ করা হয়, তাকে ঐ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করতে হয়। ভিন্ন কাজে বা ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা বৈধ হয় না। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, উমর (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বললেন, আল্লাহর রাসূল! আমি একটি উত্তম সম্পদের মালিক হয়েছি (একটি খেজুর বাগান)। আমি তা সদকা (ওয়াকফ) করতে চাই। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি মূল সম্পত্তিটি এভাবে সদকা (ওয়াকফ) কর যে, তা বিক্রি করা যাবে না, কাউকে দান করা যাবে না এবং এতে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। এর থেকে উৎপন্ন ফলফলাদি (নির্ধারিত খাতে) ব্যয় হবে। এরপর উমর (রা.) তা ঐভাবে সদকা (ওয়াকফ) করলেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৭২৪]
সুতরাং, যেহেতু জমিটি মসজিদের জন্য ওয়াকফ করা, তাই তাকে মসজিদ সংশ্লিষ্ট কাজেই লাগাতে হবে। কবরস্থানের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
এক্ষেত্রে আপনার উক্ত জমিটি মসজিদের জন্য কল্যাণকর যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারেন। ইমাম মুয়াজ্জিনের কোয়াটার নির্মাণসহ মসজিদের অধীনে কোনো দ্বীনী তালিমের ব্যবস্থাও করতে পারেন।
আলবাহরুর রায়েক ৫/২৪৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/15126/article-details.html