প্রশ্ন
আমার এক বন্ধুর স্ত্রী তার কথা শুনে না। উক্ত কারণে কি আমার বন্ধু তাকে তালাক দিতে পারবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
স্ত্রী যদি স্বামী বৈধ আদেশ বা কথা না শুনে এবং উক্ত কারণে তাদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি দেখা দেয় তাহলে সর্বপ্রথম স্বামী মহব্বতের সাথে শরিয়তের নির্দেশনা স্ত্রীকে শুনিয়ে দিবে। যদি এতে কাজ না হয় তাহলে পরিবারে লোকদের শরণাপন্ন হতে পারে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
‘যদি কোন নারী তার স্বামীর পক্ষ থেকে কোন দুর্ব্যবহার কিংবা উপেক্ষার আশঙ্কা করে, তাহলে তারা উভয়ে কোন মীমাংসা করলে তাদের কোন অপরাধ নেই। আর মীমাংসা কল্যাণকর এবং মানুষের মধ্যে কৃপণতা বিদ্যমান রয়েছে। আর যদি তোমরা সৎকর্ম কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর তবে আল্লাহ তোমরা যা কর সে বিষয়ে সম্যক অবগত।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১২৮]
তবে এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে সর্বোচ্চ এক তালাক দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কোনোক্রমেই একের অধিক দেওয়া যাবে না। যদি এক তালাক দেওয়ার পর প্রত্যেকেই নিজের ভুল বুঝতে পেরে পুনরায় একত্রে থাকতে চায় তাহলে স্বামী ইদ্দতের মাঝেই ফিরিয়ে নিতে পারবে। আর যদি মিল না হয়, তাহলে ইদ্দতের পর উক্ত নারী অন্যত্র বিয়ে বসতে পারবে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
‘তালাক দু’বার। অতঃপর বিধি মোতাবেক রেখে দেবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে। আর তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরা তাদেরকে যা দিয়েছ, তা থেকে কিছু নিয়ে নেবে। তবে উভয়ে যদি আশঙ্কা করে যে, আল্লাহর সীমারেখায় তারা অবস্থান করতে পারবে না। সুতরাং তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা কায়েম রাখতে পারবে না তাহলে স্ত্রী যা দিয়ে নিজকে মুক্ত করে নেবে তাতে কোন সমস্যা নেই। এটা আল্লাহর সীমারেখা। সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না। আর যে আল্লাহর সীমারেখাসমূহ লঙ্ঘন করে, বস্তুত তারাই যালিম।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ২২৯]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/14932/article-details.html