প্রশ্ন
আমার মামি শাশুড়ির সাথে কি আমার পর্দা করতে হবে? আমাদের গ্রামে প্রচলিত আছে যে, যে কেউ শাশুড়ি হলেই তার সাথে আর পর্দা করা লাগে না।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মামি শাশুড়ি আপনার জন্য মাহরাম নারীদের অন্তর্ভুক্ত নন। কাজেই তার সাথে পর্দা করা জরুরি। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হচ্ছে,
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ مِنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُمْ مِنْ نِسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُمْ بِهِنَّ فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا دَخَلْتُمْ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلَائِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلَابِكُمْ وَأَنْ تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا
‘তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের (১ ও ২) মাতাদেরকে (মা, নানি, দাদি), (৩) তোমাদের মেয়েদেরকে, (৪) তোমাদের বোনদেরকে, (৫) তোমাদের ফুফুদেরকে, (৬) তোমাদের খালাদেরকে, (৭) ভাতিজীদেরকে (সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে ও তাদের অধস্তন কন্যাসন্তান), (৮) ভাগ্নীদেরকে (সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে ও তাদের অধস্তন কন্যাসন্তান), (৯) তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, (১০) তোমাদের দুধবোনদেরকে, (১১) তোমাদের শ্বাশুড়ীদেরকে, (১২) তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই এবং (১৩) তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং (১৪) দুই বোনকে একত্র করা (তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ২৩]
কাজেই শাশুড়ি হলেই পর্দা করা লাগবে না- এটা শয়তানের একটি ধোঁকা। বরং শরিয়ত যাদের সাথে পর্দা করার হুকুম দিয়েছে তাদের সাথে পর্দা করতেই হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/14863/article-details.html