প্রশ্ন
একটি বইয়ে দেখলাম, নামাজের পর মাথায় হাত রেখে যে দোয়া পাঠ করা হয়, সে সম্পর্কিত হাদিসটি যয়ীফ। এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানতে চাচ্ছি।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জ্বি, ফরজ নামাজের পর মাথায় হাত রেখে যে দোয়া পাঠ করা হয়, সে সম্পর্কিত হাদিসটি যয়ীফ। হাদিসটি হল,
أَنَّ النَّبِيَّ كَانَ إِذَا صَلَّى وَفَرَغَ مِنْ صَلاتِهِ مَسَحَ بِيَمِينِهِ عَلَى رَأْسِهِ ، وَقَالَ : بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لا إِلَهَ إِلا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ ، اللَّهُمَّ أَذْهِبْ عَنِّي الْهَمَّ وَالْحَزَنَ
‘রাসূল (সা.) যখন নামায শেষ করতেন, তখন ডান হাত দ্বারা মাথা স্পর্শ করতেন এবং এই দোয়া পড়তেন- بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لا إِلَهَ إِلا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ ، اللَّهُمَّ أَذْهِبْ عَنِّي الْهَمَّ وَالْحَزَنَ (ঐ আল্লাহর নামে পড়ছি, যিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি রহমান, রহীম। হে আল্লাহ, আপনি আমার থেকে চিন্তা ও পেরেশানি দূর করে দিন।) [তাবরানী, হাদিস: ৩২৮৪]
যয়ীফ হলেও মুহাদ্দিসগণ হাদিসটিকে আমলযোগ্য বলেছেন। তাই জরুরি মনে না করে যে কেউ তার উপর আমল করতে পারে।
তবে নামাজের পরে সহিহ হাদিস দ্বারা যে সকল দোয়া করার কথা প্রমাণিত আছে সে সকল দোয়ার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া উত্তম হবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
مَنْ سَبَّحَ اللهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ ، وَحَمِدَ اللهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ ، وَكَبَّرَ اللهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ ، فَتْلِكَ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ ، وَقَالَ تَمَامَ الْمِائَةِ : لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ غُفِرَتْ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর সুবহানাল্লাহ তেত্রিশবার, আলহামদুলিল্লাহ তেত্রিশবার ও আল্লাহু আকবার তেত্রিশবার বলবে এই হল নিরানব্বই-আর একশত পূর্ণ করার জন্য বলবে-لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ তার পাপসমূহ মাফ হয়ে যাবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার মত হয়।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১২৩০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/14833/article-details.html