প্রশ্ন
কবরের সওয়াল জবাব কখন থেকে শুরু হয়? কবরে রাখার পর থেকে? তাহলে যাদেরকে কবরস্থ করতে দেরি হয়, তাদের কী বিধান?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মুনকার ও নাকীর ফেরেশতাদ্বয়ের সওয়ালের সম্পর্ক বরযখের জগতের সাথে। কবরের সাথে নয়। আল্লামা ইবনুল কায়্যিম (রহ.) তার কিতাবে লিখেন,
وَمِمَّا ينبغى أَن يعلم أَن عَذَاب الْقَبْر هُوَ عَذَاب البرزح فَكل من مَاتَ وَهُوَ مُسْتَحقّ للعذاب ناله نصِيبه مِنْهُ قبر أَو لم يقبر فَلَو أَكلته السبَاع أَو أحرق حَتَّى صَار رَمَادا ونسف فِي الْهَوَاء أَو صلب أَو غرق فِي الْبَحْر وصل إِلَى روحه وبدنه من الْعَذَاب مَا يصل إِلَى الْقُبُور
‘জানা উচিৎ যে, কবরের আজাবের দ্বারা উদ্দেশ্য হল বরযখের আজাব। সুতরাং যারাই মারা যাবে তারা তাদের আজাবের অংশ ভোগ করবে। চাই তাকে কবর দেওয়া হোক বা না দেওয়া হোক। যদি তাকে হিংস্র প্রাণি খেয়ে ফেলে অথবা তাকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, ফলে সে ছাই হয়ে যায় এবং তা বাতাসে উড়িয়ে দেওয়া হয় অথবা শূলে চড়িয়ে রাখা হয় অথবা সমুদ্রে ডুবে যায় তাহলেও তার রূহ ও দেহের ঐ শাস্তিই হবে যা তার কবরে হত।’ [আর রূহ পৃ. ৫৮]
কাজেই যাকে কবর দেওয়া হবে, তার সওয়াল জবাব সেখান থেকেই শুরু হবে। আর যাকে কবর দেওয়া হবে না, সে যে অবস্থায় থাকবে, সে অবস্থায়ই তার সওয়াল জবাব শুরু হবে।
আল এওয়াকিত ওয়াল জাওয়াহির ২/১৩৭; শরহুস সুদুর, পৃ. ১৬৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/14769/article-details.html