প্রশ্ন
কিছুদিন আগে একটি ভিডিওতে দেখলাম, একজন শায়েখ বলছেন, ইফতারের পূর্বে দোয়া কবুল হওয়ার কোনো ভিত্তি নেই। কারণ এ সংক্রান্ত হাদিসটি জাল। তাই এর উপর আমল করা যাবে না। জানতে চাচ্ছি, আসলেই কি হাদিসটি জাল?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
প্রথমে হাদিসটি দেখে নেই। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
إِنَّ لِلصَّائِمِ عِنْدَ فِطْرِهِ لَدَعْوَةً مَا تُرَدُّ
‘ইফতারের সময় রোজাদারের অবশ্যই একটি দোয়া আছে, যা রদ হয় না (কবুল হয়)।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৫৩]
উক্ত হাদিসটি জাল হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। কারণ মূলত হাদিসটির একজন রাবী ইসহাক ইবনে উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে কেউ কেউ দলিল বিহীন মন্তব্য করলেও পূর্ববর্তী মুহাদ্দিসিনগণসহ বর্তমান সময়ের অধিকাংশ মুহাদ্দিসিন উক্ত রাবীকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন।
ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) তার সম্পর্কে বলেন,
وهو مقبول
‘তিনি গ্রহণযোগ্য রাবী।’ [তাকরীবুত তাহযীব, পৃ. ১০২, রাবী: ৩৭০]
বর্তমান সময়ের মুহাদ্দিস ফুয়াদ আব্দুল বাকী বলেন,
إسناده صحيح. لأن إسحاق بن عبيد الله بن الحارث قال النسائي ليس به بأس. وقال أبو زرعة ثقة
‘হাদিসটির সনদ সহিহ। কারণ, ইমাম নাসাঈ (রহ.) ইসহাক ইবনে উবায়দুল্লাহ (রহ.)-এর ব্যাপারে বলেছেন, কোনো সমস্যা নেই। আবু যুরআ (রহ.) তাকে সিকাহ বলেছেন।’ [ফুয়াদ আব্দুল বাকী-এর তালীক, সুনানে ইবনে মাজাহ, ১/৫৫৭]
সুতরাং উক্ত হাদিসকে জাল বলার কোনো সুযোগ নেই। বরং ইফতারের পূর্বে দোয়া কবুলের বিষয়টি হাদিস দ্বারাই প্রমাণিত।
লিসানুল মিযান ১/৩৬৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/14493/article-details.html