প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় একটা নিয়ম আছে যে, সদ্য ভূমিষ্ট বাচ্চাকে কেউ দেখতে এলে তাকে আগুন পোহাতে হয়। তারপর সে বাচ্চাকে দেখতে ঘরে ঢুকতে পারে। কারণ এতে নাকি বাচ্চা বিভিন্ন ধরণের ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকে। জানতে চাচ্ছি, এ ব্যাপারে শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
এগুলো কুসংস্কার। আর কুসংস্কারে বিশ্বাস রাখা শরিয়ত পরিপন্থী কাজ। অনেক সময় তা শিরকের দিকেও নিয়ে যায়। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، ثَلَاثًا، وَمَا مِنَّا إِلَّا وَلَكِنَّ اللَّهَ يُذْهِبُهُ بِالتَّوَكُّلِ
‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত। রাসূল (সা.) বলেন, কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ মনে করা শিরক, কোনো বন্তুকে কুলক্ষণ ভাবা শিরক। একথা তিনি তিনবার বললেন। আমাদের কারো মনে কিছু জাগা স্বাভাবিক, কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা করলে তিনি তা দূর করে দিবেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৯১০]
কাজেই এ জাতীয় কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
এক্ষেত্রে কুরআন হাদিসে বর্ণিত শরীর বন্ধের বিভিন্ন দোয়াগুলো পাঠ করে ফুঁ দেওয়া যেতে পারে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/14479/article-details.html