প্রশ্ন
আমাদের মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। বিভিন্নজন মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজে দান করে থাকেন। জানতে চাচ্ছি, সেখানে ঘুষের টাকা নেওয়া যাবে কি? জনৈক ঘুষখোর তওবা করে ঘুষের টাকা দিতে চাচ্ছে।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মসজিদে হারাম সম্পদ দান করা বা মসজিদের জন্য হারাম সম্পদ গ্রহণ করা কোনোটিই বৈধ নয়। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَنْفِقُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّا أَخْرَجْنَا لَكُمْ مِنَ الْأَرْضِ وَلَا تَيَمَّمُوا الْخَبِيثَ مِنْهُ تُنْفِقُونَ وَلَسْتُمْ بِآخِذِيهِ إِلَّا أَنْ تُغْمِضُوا فِيهِ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ حَمِيدٌ
‘হে মুমিনগণ, তোমরা ব্যয় কর উত্তম বস্তু, তোমরা যা অর্জন করেছ এবং আমি যমীন থেকে তোমাদের জন্য যা উৎপন্ন করেছি তা থেকে এবং নিকৃষ্ট বস্তুর ইচ্ছা করো না যে, তা থেকে তোমরা ব্যয় করবে। অথচ চোখ বন্ধ করা ছাড়া যা তোমরা গ্রহণ করো না। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ অভাবমুক্ত, সপ্রশংসিত।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ২৬৭]
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
إن الله طيب لا يقبل إلا طيبا
‘নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র। অপবিত্র বস্তু (হারাম বা সন্দেহযুক্ত জিনিস) তিনি কবুল করেন না।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১০১৫]
কাজেই মসজিদে ঘুষের টাকা গ্রহণ করা যাবে না। উক্ত ব্যক্তি যেহেতু তওবা করেছে তাই এখন তার করণীয় হল, ঘুষের টাকা সম্ভব হলে প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। অন্যথায় সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিবদেরকে দান করে দেওয়া।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/14378/article-details.html