প্রশ্ন
কিছুদিন আগে আমাদের এলাকায় একজন বড় আরেম আসেন। তিনি মুসাফির ছিলেন। যোহরের ওয়াক্ত হওয়ায় সবাই তাকে নামাজ পড়াতে বলেন। তিনি যোহরের নামাজের ইমামতি করেন। কিন্তু দুই রাকাত না পড়ে চার রাকাত আদায় করেন। জানতে চাচ্ছি, সেদিন তার ও মুকিমদের যোহরের নামাজ আদায় হয়েছিল কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইমাম যদি মুসাফির হয় তাহলে শরিয়তের বিধান হল ইমাম চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরাবে। আর মুকিমরা বাকি নামাজ নিজেরা আদায় করে নিবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: أَقَمْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ بِمَكَّةَ، فَأَقَامَ ثمَانِ عَشْرَةَ لَيْلَةً لَا يُصَلِّي إِلَّا رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ يَقُولُ لِأَهْلِ الْبَلَدِ: صَلُّوا أَرْبَعًا، فَإِنَّا قَوْمٌ سَفْرٌ
‘ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা.)-এর সাথে আঠারো দিন মক্কায় অবস্থান করেছিলাম। তিনি দুই রাকাত করে নামাজ পড়তেন। নামাজ শেষে শহরের লোকদের বলতেন, তোমরা চার রাকাত আদায় করে নাও। কারণ, আমরা মুসাফির।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস: ৩৮৬০]
মুসাফির ইমাম যদি চার রাকাতই আদায় করে ফেলে এবং দুই রাকাতের পর বৈঠক করে থাকে তাহলে তার দুই রাকাত ফরজ হিসেবে গণ্য হবে। বাকি দুই রাকাত নফল হিসেবে গণ্য হবে। আর হানাফী মাযহাব মতে যেহেতু নফল আদায়কারীর পিছনে ফরজ আদায়কারীর ইকতেদা সহিহ হয় না। তাই প্রশ্নোক্ত বর্ণনানুযায়ী ইমাম সাহেবের নামাজ হয়ে গেলেও শেষ দুই রাকাতে মুকিমদের ইকতেদা নফল আদায়কারীর পিছনে হওয়ার কারণে তাদের সেদিনের নামাজ আদায় হয়নি। পুনরায় তাদেরকে সেদিনের যোহরের নামাজ কাযা করে নিতে হবে।
রদ্দুল মুহতার ২/৬১২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/14269/article-details.html