প্রশ্ন
আমাদের এলাকার এমপি একজন সন্ত্রাসী। সে নির্বাচনের সময় মানুষের কাছ থেকে ভোটের ওয়াদা নেয়। ওয়াদা না করলে সে তাদের ক্ষতি করে। জানতে চাচ্ছি, ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মিথ্যা বলা বৈধ নয়। তবে তিনটি ক্ষেত্রে মিথ্যা বলার সুযোগ শরিয়তে রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
لاَ يَحِلُّ الْكَذِبُ إِلاَّ فِي ثَلاَثٍ يُحَدِّثُ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ لِيُرْضِيَهَا وَالْكَذِبُ فِي الْحَرْبِ وَالْكَذِبُ لِيُصْلِحَ بَيْنَ النَّاسِ
‘তিনটি ক্ষেত্র ব্যতীত মিথ্যা বলা বৈধ নয়। ১. স্ত্রীকে খুশি করার উদ্দেশ্যে তার সাথে স্বামীর কিছু বলা, ২. যুদ্ধের সময় এবং ৩. লোকদের পরস্পরের মাঝে সংশোধন করার জন্য মিথ্যা কথা বলা।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ১৯৩৯]
সুতরাং আপনি সে অসৎ প্রার্থীর সাথে মিথ্যা বলতে ও মিথ্যা ওয়াদা দিতে পারবেন না।
তবে এক্ষেত্রে কৌশলের মাধ্যমে তার কথার জবাব দিতে পারেন। সে যদি ভোট দেওয়ার কথা বলে তাহলে বলবেন, অবশ্যই ভোট দিব। এভাবে বললে আর মিথ্যা হবে না। কারণ আপনি তো ভোট দিবেনই। তবে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে। কিন্তু এ কথা বলবেন না যে, আমি আপনাকেই ভোট দিব। তাহলে তা মিথ্যা হয়ে যাবে।
তবে কৌশলে বলার যদি কোনো সুযোগ না থাকে এবং মিথ্যা না বললে ক্ষতিরও আশংকা থাকে তাহলে ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যা বলা যাবে। আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা তা ক্ষমা করে দিবেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/14047/article-details.html