প্রশ্ন
আমাদের এলাকার এক মেয়ের বিয়ে তার পিতা মাতা ঠিক করে। কিন্তু মেয়ে সেই বিয়েতে সম্মত ছিল না। এ কারণে তার পিতা মাতা উক্ত মেয়েকে তাবিজ করে যেন সে এই বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। পরবর্তীতে দেখা যায়, উক্ত মেয়ে রাজি হয় এবং বিয়ে হয়ে যায়। জানতে চাচ্ছি, এই বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে কি? উল্লেখ্য, সেই মেয়ে এখন স্বামীর ঘর করছে।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরিয়তের বিধান হল, বিবাহের ক্ষেত্রে মেয়ের সম্মতি নিতে হবে। জোরপূর্বক কোনো মেয়েকে বিয়ে দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে রাসূল (সা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, কুমারী নারী বিয়ে দেয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার অনুমতি গ্রহণ করা হবে। আর বিধবা নারী বিয়ে দেয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার মত গ্রহণ করা হবে। প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! তার অনুমতি কেমন করে? তিনি বললেন, যখন সে নীরব থাকে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৯৬৮]
তা সত্ত্বেও পিতা মাতা যদি তাদের মেয়েকে জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে দেয় এবং মেয়ে যদি উক্ত স্বামীর সাথে ঘর সংসার শুরু করে দেয় তাহলে সেই বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।
প্রশ্নোক্ত বর্ণনানুযায়ী যেহেতু উক্ত মেয়ে স্বামীর ঘর করছে তাই এই বিয়ে শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও পিতা মাতার কাজটি শরিয়ত অনুযায়ী হয়নি।
এখন উক্ত মেয়ের জন্য আমাদের পরামর্শ হল, বিয়েটা মেনে নিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে সুন্দরভাবে সংসার চালিয়ে যাওয়া এবং বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দোয়া করা যেন, আল্লাহ তাআলা তাদের সংসারে মিল মহব্বত তৈরি করে দেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/13913/article-details.html