প্রশ্ন
আমি শুনেছি, কুরআন শিক্ষাদানের অনেক সওয়াব। আমি জানতে চাচ্ছি, কোনো পুরুষ যদি পর্দা রক্ষা না করে নারীদেরকে কুরআন শিক্ষা দেয় তাহলে সে কি সেই সওয়াবের অধিকারী হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
পর্দা একটি ফরজ বিধান। আল্লাহ তাআলা পর্দ করাকে ফরজ করে দিয়েছেন। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ
‘হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়।’[সূরা আহযাব, আয়াত: ৫৯]
‘আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ তাআলা মুমিন নারীদেরকে আদেশ করেছেন যখন তারা কোনো প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে তখন যেন মাথার উপর থেকে ওড়না/চাদর টেনে স্বীয় মুখমণ্ডল আবৃত করে। আর (চলাফেরার সুবিধার্থে) শুধু এক চোখ খোলা রাখে।’[ফাতহুল বারী ৮/৫৪, ৭৬, ১১৪]
পর্দার বিধান না মানলে গুনাহগার হতে হবে। তাছাড়া পর্দাহীনতা সমাজে বিভিন্ন ধরনের ফেতনার সৃষ্টি করে। কাজেই প্রতিটি মুসলমানের উচিৎ পর্দার বিধান যথাযথভাবে মান্য করা।
কুরআনের শিক্ষাদান অনেক বড় সওয়াবের কাজ। কিন্তু সেই সওয়াব লাভ করতে হলে শিক্ষাদান হতে হবে শরিয়ত নির্দেশিত পন্থায়। শরিয়তের সীমার বাহিরে গিয়ে শিক্ষাদান করা হলে সওয়াবের অধিকারী তো হওয়া যাবেই না। বরং উল্টো গুনাহ হবে।
সুতরাং উক্ত ব্যক্তির জন্য জরুরি হল, পর্দা রক্ষা করে পড়ানোর কাজ চালিয়ে দেওয়া।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/13759/article-details.html