প্রশ্ন
সালাতুত তাসবীহ সম্পর্কিত হাদিসটি কি সহিহ? কিছু লোককে বলতে শুনলাম, উক্ত হাদিসটি নাকি যয়ীফ।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সালাতুত তাসবীহ সম্পর্কিত হাদিসটি সহিহ। একাধিক হাদিসের কিতাবে হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘ইবনে আব্বাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত। রাসূল (সা.) আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা.)-কে বললেন, হে আব্বাস! হে আমার চাচা! আমি কি আপনাকে দান করবো না? আমি কি আপনাকে উপহার দিবো না? আমি কি আপনার দশটি মহৎ কাজ করে দিবো না? আপনি যখন সে কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন, তখন আল্লাহ আপনার প্রথম ও শেষ, অতীত ও বর্তমান, ইচ্ছা ও অনিচ্ছাকৃত, ছোট ও বড় এবং প্রকাশ্য ও গোপন সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। ঐ দশটি মহৎ কাজ হচ্ছে, আপনি চার রাকআতের ক্বিরাআত হতে অবসর হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় বলবেন, ‘‘সুবহানাল্লাহ ওয়াল-হামদুলিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’’ পনের বার, অতঃপর রুকূ করুন এবং রুকূ অবস্থায় তা পাঠ করুন দশবার, আবার রুকূ হতে মাথা উঠিয়ে তা পাঠ করুন দশবার, অতঃপর সিজদায় যান এবং সিজদা অবস্থায় তা পাঠ করুন দশবার, অতঃপর সিজদা হতে মাথা উঠিয়ে তা পাঠ করুন দশবার। আবার সিজদা করুন, সেখানে তা পাঠ করুন দশবার। অতঃপর সিজদা হতে মাথা তুলে তা পাঠ করুন দশবার, এ নিয়মে প্রত্যেক রাকআতে তাসবীহর সংখ্যা হবে ৭৫ বার এবং তা করতে থাকুন পূর্ণ চার রাকআতে। (এতে পুরো সালাতে তাসবীহর সংখ্যা হবে তিন শত বার)। আপনার পক্ষে সম্ভব হলে উক্ত নামাজ দৈনিক একবার আদায় করুন। অন্যথায় সপ্তাহে একবার, তাও সম্ভব না হলে মাসে একবার, এটাও সম্ভব না হলে বছরে একবার, যদি তাও না হয় তবে সারা জীবনে অন্তত একবার আদায় করুন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১২৯৭]
মুহাদ্দিসিনগণ উক্ত হাদিসকে সহিহ বলেছেন। শায়েখ আলবানী (রহ.) বলেন,
حديث صحيح، وقد قوَّاه جماعة من الأئمة
‘হাদিসটি সহিহ। একদল উলামায়ে কেরাম হাদিসটিকে শক্তিশালী বলেছেন।’ [সহিহ সুনানে আবু দাউদ, ৫/৪০, হাদিস: ১১৭৩]
কাজেই যারা বলে থাকেন যে, সালাতুত তাসবীহ সম্পর্কিত হাদিসটি যয়ীফ, তাদের বক্তব্য সঠিক নয়।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৭; সুনানে কুবরা, হাদিস: ৪৬৯৫; সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস: ১২১৬; সহিহুল মুসনাদ, হাদিস: ৫৮২; সহিহুল জামে, হাদিস: ৭৯৩৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/13688/article-details.html