প্রশ্ন
কুরআনে সূরা রাদ-এর ২৯ নম্বর আয়াতে তুবা শব্দের উল্লেখ আছে। জানতে চাচ্ছি, তুবা দ্বারা কী উদ্দেশ্য?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সূরা রাদ-এর ২৯ নম্বর আয়াতটি হল,
الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ طُوبَى لَهُمْ وَحُسْنُ مَآبٍ
‘যারা ঈমান আনে এবং নেক আমল করে, তাদের জন্য রয়েছে স্বাচ্ছন্দ ও সুন্দর প্রত্যাবর্তনস্থল।’ [সূরা আর রাদ, আয়াত: ২৯]
মুফাসসিরগণ তুবার বিভিন্ন তাফসীর করেছেন। নিম্নে তা উল্লেখ করা হল,
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عُتْبَةَ بْنِ عَبْدٍ السُّلَمِيِّ قَالَ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ عَنِ الْجَنَّةِ وَذَكَرَ الْحَوْضَ فَقَالَ: فِيهَا فَاكِهَةٌ؟ قَالَ: نَعَمْ وَفِيهَا شَجَرَةٌ تُدْعَى طُوبَى
‘উতবা ইবনে আব্দুস সুলামী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর কাছে এসে জান্নাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। হাউজের কথাও উল্লেখ করে বলল, জান্নাতে কি ফলমুল আছে? রাসূল (সা.) বললেন, হ্যাঁ, সেখানে একটি গাছও আছে যার নাম তুবা।’ [আল মুজামুল কাবীর, হাদিস: ৩১৩]
আরেক হাদিসে এসেছে,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا طُوبَى؟ قَالَ: شَجَرَةٌ فِي الْجَنَّةِ مَسِيرَةُ مِائَةِ سَنَةٍ ثِيَابُ أهل الجنة تخرج من أكمامها
‘আবু সাইদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, তুবা কী? রাসূল (সা.) বললেন, তুবা জান্নাতের একটি গাছ। এর বিস্তৃতি একশ বছরের পথের সমান। তার ছাল থেকে জান্নাতীদের পোশাক তৈরি করা হবে।’ [সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৭৪১৩]
ইবনে কাসীর (রহ.) এই তুবায় ব্যাখ্যায় লিখেন,
‘ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তুবা হল আনন্দ ও চক্ষুর শীতলতা।
সাইদ বিন জুবাইর ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তুবা হল জান্নাত।
ইবরাহীম নাখয়ী (রহ.) বলেন, তাদের জন্য কল্যাণ।’ [তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/৩৯১]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/12987/article-details.html