প্রশ্ন
আমাদের এলাকার ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়ানোর জন্য একজন বেতনভুক্ত ইমাম নিয়োগ দিতে চাচ্ছি। প্রশ্ন হল, শরিয়তের দৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
বর্তমান ফুহাকাহায়ে কেরামের মতে ইমামতি করিয়ে বেতন নেওয়া বৈধ। তারা নিম্নোক্ত হাদিস দ্বারা দলিল পেশ করে থাকেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত যে, রাসূল (সা.)-এর সাহাবীগণের একটি দল একটি কূয়ার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। কূপের পাশে অবস্থানকারীদের মধ্যে ছিল সাপে কাটা এক ব্যক্তি কিংবা তিনি বলেছেন, দংশিত এক ব্যক্তি। তখন কূপের কাছে বসবাসকারীদের একজন এসে তাদের বলল, আপনাদের মধ্যে কি কোন ঝাড়-ফুঁককারী আছেন? কূপ এলাকায় একজন সাপ বা বিচ্ছু দংশিত লোক আছে। তখন সাহাবীদের মধ্যে একজন সেখানে গেলেন। এরপর কিছু বকরি দানের বিনিময়ে তিনি সূরা ফাতিহা পড়লেন। ফলে লোকটির রোগ সেরে গেল। এরপর তিনি ছাগলগুলো নিয়ে তাঁর সাথীদের নিকট আসলেন, কিন্তু তাঁরা কাজটি পছন্দ করলেন না। তাঁরা বললেন, আপনি আল্লাহর কিতাবের উপর পারিশ্রমিক নিয়েছেন। অবশেষে তাঁরা মদীনায় পৌঁছে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি আল্লাহর কিতাবের উপর পারিশ্রমিক গ্রহণ করেছেন। তখন রাসূল (সা.) বললেন, যে সকল জিনিসের উপর তোমরা বিনিময় গ্রহণ করে থাক, তন্মধ্যে পারিশ্রমিক গ্রহণ করার সবচেয়ে বেশি হক রয়েছে আল্লাহর কিতাবের।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৭৩৭]
সুতরাং আপনারা আপনাদের ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়ানোর জন্য বেতনভুক্ত ইমাম নিয়োগ দিতে পারবেন।
রদ্দুল মুহতার ৯/৭৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/12789/article-details.html