প্রশ্ন
প্রথম সন্তান যদি কন্যা হয় তাহলে বিশেষ কোনো ফজিলত লাভ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
প্রথম সন্তান কন্যা হলে বিশেষ কোনো ফজিলত লাভের কথা কুরআন হাদিসের কোথাও বর্ণিত হয়নি। তবে কন্যা সন্তানের জন্মকে কুরআনে সুসংবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُمْ بِالْأُنْثَى ظَلَّ وَجْهُهُ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ (٥٨) يَتَوَارَى مِنَ الْقَوْمِ مِنْ سُوءِ مَا بُشِّرَ بِهِ أَيُمْسِكُهُ عَلَى هُونٍ أَمْ يَدُسُّهُ فِي التُّرَابِ أَلَا سَاءَ مَا يَحْكُمُونَ
‘আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়; তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায়। আর সে থাকে দুঃখ ভারাক্রান্ত। তাকে যে সংবাদ দেয়া হয়েছে, সে দুঃখে সে কওম থেকে আত্মগোপন করে। আপমান সত্ত্বেও কি একে রেখে দেবে, না মাটিতে পুঁতে ফেলবে? জেনে রেখ, তারা যা ফয়সালা করে, তা কতই না মন্দ!’ [সূরা নাহল, আয়াত: ৫৮-৫৯]
আর কুরআন যে বিষয়কে সুসংবাদ বলেছে তা অবশ্যই বরকতের হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তাছাড়া কন্যা সন্তান লালন পালনের অনেক ফজিলতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
‘যে মুসলিমের দুইটি কন্যা সন্তান আছে এবং সে তাদেরকে উত্তম সাহচর্য দান করে তারা তাকে বেহেশতে দাখিল করবে।’ [আদাবুল মুফরাদ, হাদিস: ৭৭]
আরেক হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
‘যার তিনটি কন্যা সন্তান আছে এবং সে তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে তাদের ব্যয়ভার বহন করে এবং তাদের সাথে দয়ার্দ্র ব্যবহার করে, তার জন্য বেহেশত অবধারিত হয়ে যায়। লোকজনের মধ্য থেকে একজন বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কারো যদি দুটি কন্যা সন্তান থাকে? তিনি বলেনঃ দুইটি কন্যা সন্তান হলেও।’ [আদাবুল মুফরাদ, হাদিস: ৭৮]
কাজেই কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করলে যে বিভিন্ন ফজিলত লাভ হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/12478/article-details.html