প্রশ্ন
কিছুদিন আগে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও দেখলাম। সেখানে একজন বক্তা দাবি করছেন যে, রাসূল (সা.) কখনো তাসাউফের বাইয়াত করাননি। বরং রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাহাবায়ে কেরামকে খেলাফতের বাইয়াত করিয়েছেন। জানতে চাচ্ছি, এ তথ্যের সত্যতা কতটুকু?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
উক্ত ব্যক্তির বক্তব্য সঠিক নয়। বরং রাসূল (সা.) অন্যান্য বাইআতের পাশাপাশি -তাযকিয়া-তাসাউফের বাইআতও করাতেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আওফ ইবনে মালিক (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সাতজন অথবা আটজন অথবা নয়জন রাসূল (সা.)-এর নিকট ছিলাম। তিনি বললেন: তোমরা কি আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর নিকট বাইআত গ্রহণ করবে না? অথচ আমরা কয়েকদিন আগেই বাইআত নিয়েছি, তাই আমরা বললাম, আমরা তো আপনার কাছে বাইআত হয়েছি। এমনকি তিনি এ কথাটি তিনবার বললেন। অতঃপর আমরা আমাদের হাত প্রসারিত করে বাইআত গ্রহণ করলাম। একজন বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো বাইআত করেছি, তাহলে এখন আবার কিসের উপর বাইআত হবো? তিনি বললেন: তোমরা এক আল্লাহর ইবাদাত করবে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে এবং আমীরের কথা শুনবে ও তার আনুগত্য করবে। তিনি সংক্ষেপে নিচু স্বরে বললেন: মানুষের কাছে কিছু সওয়াল করবে না। বর্ণনাকারী বলেন: এদের কেউই (সফরে) একটি ছড়ি নীচে পড়ে গেলেও অন্যকে তা তুলে দিতে অনুরোধ করেননি।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১০৪৩; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৬৪২]
সুতরাং না জেনে কোনো বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকা আমাদের সকলের কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন।
অবশ্য এটাও ঠিক যে, বর্তমানে তাসাউফের নাম দিয়ে বহু মানুষ ইসলামকে বিকৃত করে ফেলেছে। ইসলামের মাঝে নানা ধরনের ভিত্তিহীন এমনকি শিরকি কর্মকাণ্ডও প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। তাই এগুলো থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সচেতন হতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/12432/article-details.html