কসমের কাফফারার ক্ষেত্রে কয় বেলা খাওয়াতে হবে

প্রশ্ন                                                                                                         

আমি একটি কসম করে ভঙ্গ করেছি। এখন আমি তার কাফফারা আদায় করতে চাচ্ছি। আমি জানতে চাচ্ছি, আমি যদি ফকীরকে খাওয়াই তাহলে কয় বেলা খাওয়াতে হবে?

উত্তর                                                                                                       

بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما

কসমের কাফফারা সম্পর্কে কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে-

فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ

‘সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরণের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফফারা, যদি তোমরা কসম কর।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৮৯]

কেউ যদি দশ জন মিসকীনকে খাবার খাওয়াতে চায় তাহলে দুই বেলা খাওয়াতে হবে। বিশিষ্ট তাবেয়ি কাতাদা (রহ.) বলেন: ‘প্রত্যেক মিসকীনকে দিনে ও রাতে (দু বেলা) খাওয়াবে।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদিস: ১২৩৪৮]

বাদায়েউস সানায়ে ৪/২৬১; মাবসূত, সারাখসী ৭/১৫

আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

و الله تعالى أعلم بالصواب

وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم

উত্তর দিচ্ছেন:

ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী

সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/11477/article-details.html