প্রশ্ন
আমি তুলনামূলক রাগী মানুষ। একটুতেই রেগে যাই। জানতে চাচ্ছি, রাগ কমানোর শরয়ি কোনো পদ্ধতি আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
অহেতুক রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। এই অহেতুক রাগের কারণে মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষতিন সম্মুখীন হয়। এ কারণে রাগ সংবরণ করাকে মুত্তাকী ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
الَّذِينَ يُنْفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
‘(মুত্তাকী হল) যারা সুসময়ে ও দুঃসময়ে ব্যয় করে এবং ক্রোধ সংবরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৪]
রাসূল (সা.) রাগ কমানোর কিছু পদ্ধতি উল্লেখ করেছেন। আপনি সেগুলো ফলো করতে পারেন। আশা করি আপনার রাগ কমে যাবে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
‘তোমাদের কারো যদি দাঁড়ানো অবস্থায় রাগের উদ্রেক হয় তাহলে সে যেন বসে পড়ে। এতে যদি তার রাগ দূর হয় তো ভালো, অন্যথায় সে যেন শুয়ে পড়ে।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৮২]
অন্য হাদিসে এসেছে,
‘আবু ওয়াইল আল-কাস (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা উরওয়া ইবনু মুহাম্মাদ আস সা‘দির নিকট গেলাম। তখন এক ব্যক্তি তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে তাকে রাগিয়ে দিলো। অতএব তিনি দাঁড়ালেন এবং উযু করলেন। অতঃপর বললেন, আমার পিতা আমার দাদা আতিয়্যাহ (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, রাগ হচ্ছে শয়তানী প্রভাবের ফল। শয়তানকে আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর আগুন পানি দিয়ে নিভানো যায়। অতএব তোমাদের কারো রাগ হলে সে যেন উযু করে নেয়।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৮৪]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/11203/article-details.html