প্রশ্ন
আমার নাম সাবেরা। আমি এ বছর রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতে চাচ্ছি। প্রশ্ন হল, পুরুষদের মত নারীদেরও কি মসজিদে ইতিকাফ করতে হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
রমজানের শেষ দশকে পুরুষদের মত নারীদের ইতেকাফও ফযিলতের আমল। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ ثُمَّ اعْتَكَفَ أَزْوَاجُهُ مِنْ بَعْدِهِ
‘আয়েশা (রা.) বলেন: রাসূল (সা.) মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন। তার ইন্তেকালের পর তার স্ত্রীগণও ইতেকাফ করেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০২৬]
তবে নারীরা মসজিদে ইতেকাফ না করে তাদের ঘরের নির্দিষ্ট একটি কক্ষে ইতেকাফ করবে। একটি হাদিস থেকে বিষয়টি বুঝা যায় যে, নারীদের জন্য ঘরের নির্দিষ্ট একটি কক্ষে ইতিকাফ করা উত্তম। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমজানের শেষ দশকে রাসূল (সা.) ইতিকাফ করতেন। আমি তাঁর তাঁবু তৈরি করে দিতাম। তিনি ফজরের নামাজ আদায় করে তাতে প্রবেশ করতেন। (নবী-সহধর্মিণী) হাফসা (রা.) তাঁবু খাটাবার জন্য আয়েশা (রা.)-এর কাছে অনুমতি চাইলেন। তিনি তাঁকে অনুমতি দিলে হাফসা (রা.) তাঁবু খাটালেন। (নবী-সহধর্মিনী) যায়নাব বিনতু জাহশ (রা.) তা দেখে আরেকটি তাঁবু তৈরি করলেন। সকালে রাসূল (সা.) তাঁবুগুলো দেখলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এগুলো কী? তাঁকে জানানো হলে তিনি বললেন, তোমরা কি মনে কর এগুলো দিয়ে নেকী হাসিল হবে? এ মাসে তিনি ইতিকাফ ত্যাগ করলেন এবং পরে শাওয়াল মাসে দশ দিন (কাযা স্বরূপ) ইতিকাফ করেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০৩৩]
তবে কোনো নারী যদি পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে মসজিদে ইতিকাফ করে তাহলে তার ইতিকাফ আদায় হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/11110/article-details.html