প্রশ্ন
শিস দেওয়া যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শিস যদি ইবাদত হিসেবে দেওয়া হয় তাহলে হারাম ও গুনাহ হবে। কারণ, কাফেররা হাততালি ও শিস দেওয়ার মাধ্যমে নামাজ আদায় করত। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَمَا كَانَ صَلَاتُهُمْ عِنْدَ الْبَيْتِ إِلَّا مُكَاءً وَتَصْدِيَةً فَذُوقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ
‘আল্লাহর ঘরের নিকট তাদের নামাজ হাততালি মারা আর শিশ দেয়া ছাড়া আর কিছুই না, (এসব অপরাধে লিপ্ত ব্যক্তিদেরকে বলা হবে) আযাব ভোগ কর যেহেতু তোমরা কুফরীতে লিপ্ত ছিলে।’ [সূরা আনফাল, আয়াত: ৩৫]
আর যদি এমনিতেই শিস দেওয়া হয় তাহলে তা হবে অনর্থক কাজ। আর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
من حُسنِ إسلام المرءِ تركُهُ ما لا يعنيه
‘একজন ব্যক্তির ইসলামের পরিপূর্ণতার একটি লক্ষণ হল যে, তার জন্য জরুরি নয় এমন কাজ সে ত্যাগ করে।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ২২৩৯]
তাছাড়া শিস দেওয়াকে সাধারণত মানুষ খারাপ চোখে দেখে থাকে। আর ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন,
وَمَا رآهُ الْمُؤْمِنُونَ قَبيحًا فَهوَ عِنْدَ الله قَبِيحٌ
‘মুমিনরা যে সকল বিষয়কে মন্দ মনে করে, আল্লাহ তাআলার নিকট সেগুলো মন্দ।’ [কাশফুল খফা, ২/২৬৩, হাদিস: ২২১৪]
তাই শিস দেওয়া থেকে বিরত থাকা মুসলমানদের কর্তব্য।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/10996/article-details.html