প্রশ্ন
আগে কখনো আমাদের মসজিদে খতম তারাবী হয়নি। এবার মসজিদ কমিটি চাচ্ছে খতম তারাবী পড়তে। কিন্তু মুসল্লীরা এতে রাজি নয়। সকল মুসল্লী থেকে মতামত নেওয়া হলে অধিকাংশ মুসল্লী খতম তারাবী না পড়ার পক্ষে মত দেয়। জানতে চাচ্ছি, মুসল্লীদের মতামতের ভিত্তিতে সূরা তারাবী পড়া যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হানাফী মাযহাব মতে তারাবীর নামাজে একবার কুরআন খতম করা সুন্নত। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْرَضُ عَلَيْهِ الْقُرْآنُ فِي كُلِّ رَمَضَانَ، فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُرِضَ عَلَيْهِ مَرَّتَيْنِ
‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রতি রমজানে রাসূল (সা.)-এর সামনে একবার সম্পূর্ণ কুরআন পেশ (তেলাওয়াত) করা হত। কিন্তু যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন সে বছর দুইবার তার সামনে পেশ করা হয়।’ [সুনানে কুবরা, নাসাঈ, হাদিস: ৭৯৩৮]
হাদিস শরিফে এসেছে, হাসান বসরী (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
مَنْ أَمَّ النَّاسَ فِي رَمَضَانَ فَلْيَأْخُذْ بِهِمُ الْيُسْرَ، فَإِنْ كَانَ بَطِيءَ الْقِرَاءَةِ فَلْيَخْتِمِ الْقُرْآنَ خَتْمَةً، وَإِنْ كَانَ قِرَاءَتُهُ بَيْنَ ذَلِكَ فَخَتْمَةٌ وَنِصْفٌ، فَإِنْ كَانَ سَرِيعَ الْقِرَاءَةِ فَمَرَّتَيْنِ
‘যে ব্যক্তি রমজানে তারাবীর নামাজের ইমামতি করবে সে যেন সহজতা অবলম্বন করে। সে যদি ধীরে কেরাত পাঠকারী হয় তাহলে (তারাবীর) নামাজে এক খতম কুরআন পাঠ করবে। আর তার কেরাত যদি মাঝামাঝি হয় তাহলে দেড় খতম। আর যদি তার কেরাত দ্রুত হয় তাহলে দুই খতম।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস: ৭৬৭৯]
সুতরাং মুসল্লীদের অলসতার কারণে উক্ত সুন্নত ত্যাগ করা ঠিক হবে না। বরং সম্ভব হলে মসজিদ কমিটি খতম তারাবীর ব্যবস্থাই রাখবে।
ফাতহুল বারী ১/৪৮১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/10891/article-details.html