প্রশ্ন
আমাদের গ্রামে মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত স্থানে গ্রামের লোকেরা একটি মাদরাসা নির্মাণ করে ফেলেছে। তাতে অনেক টাকা খরচও হয়েছে। এলাকার একজন আলেম বললেন, যেহেতু জায়গাটি মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত তাই তা মাদরাসার জন্য ব্যবহার করা উচিৎ হয়নি। জানতে চাচ্ছি, এখন আমাদের করণীয় কী? আমাদের কি মাদরাসাটি ভেঙ্গে ফেলতে হবে? এ ছাড়া অন্যকোনো পন্থা কি রয়েছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
স্বাভাবিক অবস্থায় ওয়াকফের জমি এওয়াজ বদল করা জায়েয নেই। হাদিস শরিফে এসেছে-
تَصَدَّقَ بِهَا عُمَرُ أَنَّهُ لَا يُبَاعُ وَلَا يُوهَبُ وَلَا يُورَثُ
‘উমর (রা.) তার একটি ভূমি ওয়াকফ করেছেন এই শর্তে যে, তা বিক্রি করা যাবে না। কাউকে হাদিয়া দেওয়া যাবে না এবং এর মধ্যে উত্তরাধিকার সাব্যস্ত হবে না।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৭৩৭]
তবে আপনাদের মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত জমিনে যেহেতেু মাদরাসা নির্মিত হয়ে গিয়েছে এবং তাতে অনেক টাকাও খরচ হয়েছে, তাই এখন আপনাদের সামনে দু’টি পথ খোলা রয়েছে। একটি হল, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মাদরাসা যে পরিমাণ জমি ব্যবহার করছে সে পরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমি অন্য স্থান থেকে মসজিদের জন্য ক্রয় করে দিবে। আরেকটি পদ্ধতি হল, মাদরাসা যে পরিমাণ জমি ব্যবহার করছে তার একটি ভাড়া নির্ধারণ করে মসজিদে ফান্ডে তা জমা দিবে। মাদরাসা জমিটি ভাড়া হিসেবে ব্যবহার করতে থাকবে।
উল্লেখ্য, দু’টি পদ্ধতির মাঝে দ্বিতীয় পদ্ধতিটি সবচেয়ে নিরাপদ। আপনারা দ্বিতীয় পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে পারেন।
রদ্দুল মুহতার ৬/৪৮৬; ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ২/৪০০
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/10719/article-details.html