প্রশ্ন
গত মাসে আমি গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে দেখতে পেলাম, কিছুলোক কাজ করার সময় ইয়া আলী বলে থাকে। জানতে চাচ্ছি, ইয়া আলী বলা কি বৈধ?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইয়া আলী বলার দুইটি উদ্দেশ্য হতে পারে। যেমন,
১. যদি এর দ্বারা উদ্দেশ্য হয় সম্বোধিত ব্যক্তির চিত্র অন্তরে আনা, তার কাছে কোনো কিছু না চাওয়া তাহলে এটি শিরক হবে না।
২. ইয়া আলী বলার মাঝে যদি প্রার্থনা অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে তা শিরক হবে। যেমন, কেউ কোনো ভারী বস্তু উঠানোর সময় বলল, ইয়া আলী, বা বিপদে আপদে বলল। এতে পরোক্ষভাবে প্রার্থনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَدْعُو مِنْ دُونِ اللَّهِ مَنْ لَا يَسْتَجِيبُ لَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَائِهِمْ غَافِلُونَ
‘তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কাউকে ডাকে, যে কিয়ামত দিবস পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না? আর তারা তাদের আহবান সম্পর্কে উদাসীন।’ [সূরা আহকাফ, আয়াত: ৫]
আপনার গ্রামের ঐ লোকেরা যদি আলী (রা.)-এর কাছে সাহায্য প্রর্থনার উদ্দেশ্যে একথাটি বলে থাকে তাহলে তা শিরকের অন্তর্ভুক্ত হবে। তাদেরকে তাদের ঈমান নবায়ন করে নিতে হবে।
ইকতিযাউস সিরাতিল মুস্তাকিম লি মুখালাফাতি আসহাবিল জাহিম ২/৩১৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/10306/article-details.html