প্রশ্ন
জনৈক বক্তার মুখে কিছুদিন আগে শুনলাম, যে ব্যক্তি হারাম খায় তার চল্লিশ দিনের নামাজ কবুল করা হয় না। জানতে চাচ্ছি, তথ্যটি কি সঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সহিহ হাদিস দ্বারা বুঝা যায়, হারাম ভক্ষণকারীর দোয়া আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুল হয় না। হাদিস শরিফে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيْلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ يَا رَبِّ يَا رَبِّ وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ وَغُذِىَ بِالْحَرَامِ فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ
‘অতঃপর রাসূল (সা.) সেই ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে লম্বা সফর করে আলুথালু ধূলিমলিন বেশে নিজ হাত দু’টিকে আকাশের দিকে লম্বা করে তুলে দোয়া করে, ‘হে আমার প্রতিপালক! হে আমার প্রভু!’ কিন্তু তার আহার্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পরিধেয় লেবাস হারাম এবং হারাম দ্বারাই তার পুষ্টিবিধান হয়েছে। অতএব তার দোয়া কিভাবে কবুল হতে পারে?’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৩৯৩]
তবে হারাম ভক্ষণকারীর আমল চল্লিশ দিন পর্যন্ত কবুল করা হয় না- এ মর্মে কোনো সহিহ হাদিস না থাকলেও একটি যয়ীফ হাদিস পাওয়া যায়। হাদিসটি হল,
إِنَّ الْعَبْدَ لَيَقْذِفُ اللُّقْمَةَ الْحَرَامَ فِي جَوْفِهِ مَا يُتَقَبَّلُ مِنْهُ عَمَلَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا
‘কোনো বান্দার পেটে যদি হারাম খাদ্যের একটি লোকমাও প্রবেশ করে তাহলে তার চল্লিশ দিনের আমল কবুল করা হয় না।’ [আল মুজামুল আওসাত, হাদিস: ৬৪৯৫]
সুতরাং হারাম খেলে চল্লিশ দিনের নামাজ কবুল করা হয় না- বিষয়টি সুনিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও হারাম খাদ্য ভক্ষণ করা থেকে বিরত প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ। কাজেই কোনোক্রমেই হারাম খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না।
সিলসিলাতু আহাদিসিয যয়ীফা ৪/২৯২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/10298/article-details.html