প্রশ্ন
আমি একদিন স্নেহবশত আমার বউমাকে কপালে চুম্বন করি। এক ব্যক্তি বলল এ কারণে নাকি আমার বউমা আমার ছেলের উপর চিরদিনের জন্য হারাম হয়ে গিয়েছে। জানতে চাচ্ছি, উক্ত ব্যক্তির কথা কি সঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শ্বশুর ছেলের স্ত্রীর মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। আর মাহরাম নারীদেরকে স্নেহবশত চুম্বন করা বৈধ। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূল (সা.)-এর উঠা-বসা, আচার-অভ্যাস ও চালচলনের সাথে তার কন্যা ফাতেমা (রা.)-এর অপেক্ষা বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ আমি আর কাউকে দেখিনি। আয়েশা (রা.) আরও বলেন, ফাতেমা (রা.) যখনই রাসূল (সা.)-এর নিকট আসতেন তিনি তখনই তার নিকট উঠে যেতেন, তাকে চুমু দিতেন এবং নিজের স্থানে বসাতেন। আর রাসূল (সা.) তার ঘরে গেলে তিনিও নিজের জায়গা হতে উঠে তাকে (পিতাকে) চুমু দিতেন এবং নিজের জায়গায় বসাতেন।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ৩৮৭২]
তবে মাহরাম নারীদেরকে চুম্বন করার অন্যতম শর্ত হল, কামোত্তেজনা না থাকা। যদি কামোত্তেজনা থাকে তাহলে মাহরাম নারীদেরকে চুম্বন করা বৈধ হবে না।
সুতরাং আপনার বউমাকে চুম্বনের সময় যদি আপনার কামোত্তেজনা না থেকে থাকে তাহলে তা আপনার জন্য বৈধ হয়েছে। এ কারণে আপনার ছেলের উপর আপনার বউমা চিরদিনের জন্য হারাম হবে না। কিন্তু যদি কামোত্তেজনা পাওয়া যায় তাহলে আপনার ছেলের উপর আপনার বউমা চিরদিনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
সূরা নিসা, আয়াত: ২২; আহকামুল কুরআন ২/১৩৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/10082/article-details.html