প্রশ্ন
আমি গত সপ্তাহে এক দুর্গম এলাকায় সফর করি। জুমআর সময় হয়ে গেলে কোনো মসজিদ সেখানে খুঁজে পাইনি। তাই জুমআর নামাজও পড়া হয়নি। জানতে চাচ্ছি, ঐ মুহূর্তে আমার করণীয় কী ছিল?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কেউ যদি কোনো কারণবশত জুমআর নামাজ আদায় করতে না পারে তাহলে সে যোহরের নামাজ আদায় করে নিবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الْجُمُعَةِ فَلْيُصَلِّ إِلَيْهَا أُخْرَى , وَمَنْ فَاتَتْهُ الرَّكْعَتَانِ فَلْيُصَلِّ أَرْبَعًا
‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, কোনো ব্যক্তি জুমআর এক রাকাত পেলে সে যেন আরো এক রাকাত মিলিয়ে জুমআর নামাজ আদায় করে। আর কোনো ব্যক্তির যদি জুমআর দুই রাকাতই ছুটে যায় তাহলে সে চার রাকাত (যোহরের) নামাজ আদায় করবে।’ [সুনানে দারাকুতনী, হাদিস: ১৬০১]
কাজেই আপনার সেদিন করণীয় ছিল, যোহরের নামাজ আদায় করে নেওয়া।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/10040/article-details.html