প্রশ্ন
আমার এক আত্মীয় কিছুদিন আগে বললেন, সকাল সন্ধ্যা তিন কুল তথা, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করার অনেক ফজিলত রয়েছে। জানতে চাচ্ছি, সকাল সন্ধ্যা তিন কুল পাঠ করতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আপনার আত্মীয় ঠিকই বলেছেন। সকাল সন্ধ্যা তিন কুল পাঠ করার অনেক ফজিলত রয়েছে। নিম্নে তার কিছু উল্লেখ করা হল। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইব (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, এক ঘুটঘুটে অন্ধকার ও বৃষ্টিমুখর রাতে আমাদের নামায আদায় করানোর জন্য আমরা রাসূল (সা.)-এর সন্ধানে বের হলাম। আমি তার দেখা পেলে তিনি বললেন, বল। কিন্তু আমি কিছুই বললাম না। তিনি পুনরায় বললেন, বল। এবারও আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বললেন, বল। এবার আমি প্রশ্ন করলাম, আমি কি বলব? তিনি বললেন, তুমি প্রতি দিন বিকালে ও সকালে উপনীত হয়ে তিনবার করে সূরা কুল হুআল্লাহু আহাদ (সূরা ইখলাস) ও আল-মু’আওবিযাতাইন (সূরা ফালাক ও সূরা নাস) পাঠ করবে, আর তা প্রত্যেকটি ব্যাপারে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ৩৫৭৫]
অপর এক হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা সূরা ইখলাস ও এই দুই সূরা পড়বে সে সকল বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ২৯০৩; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৫২৩; তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/৯১৭]
সুতরাং সকাল সন্ধ্যা তিন কুল পাঠ করতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা নেই।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم
উত্তর দিচ্ছেন:
ড. মুফতি মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী
সূত্র: https://www.drkhalilurrahman.com/9947/article-details.html